১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৪৫

অভিযুক্ত সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার, সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি

অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলাম  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও আম্মান সিদ্দিক কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিমাদ্রী শেখর, এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহজাহান শিক্ষক সমিতির সভাপতি সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ ।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি এত ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার। যাতে দোষীরা শাস্তি পায়।

অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম বলেন, এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সাথে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোন জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় আত্মহত্যা করে মারা যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। মারা যাওয়া পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম দায়ী করে যান।