ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সিন্ডিকেট সভা ডেকেছে প্রশাসন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
এরপর উপাচার্যের আশ্বাসে ইফতারের আগেই সড়ক ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্য বলেন, আগামীকাল বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকেছি। তোমরা আমার সামনে যা উপস্থাপন করেছো, সিন্ডিকেটে আমি তা উপস্থাপন করবো। আমি তোমাদের শিক্ষক, তোমাদের উপাচার্য, তোমাদের প্রতিনিধি। তোমরা আমার উপর আস্থা রাখো। আশা করি আগামীকাল তোমরা যা চাও, সেটিই হবে।
এর আগে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ওই দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশনা দেয় প্রশাসন।
প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। কলা অনুষদ ভবনের সামনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকবো। যদি আজকের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হয়, তাহলে আমাদের রক্তের ওপর পা দিয়ে আপনাদের যেতে হবে। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এক চুলও ছাড় দেব না।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। তবে সিন্ডিকেটে যথাযথ বিচার নিশ্চিত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।