নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তায় দ্রুত বিচারের আশ্বাস উপাচার্যের
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা কর্তৃক এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
সোমবার (১১ মার্চ) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাৎকারে উপাচার্য সকল যৌক্তিক দাবি তদন্ত সাপেক্ষে মেনে নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে আস্থা রেখে পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবং আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন।
উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, এ পর্যন্ত উপাচার্য বরাবর বিশের অধিক অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের সমস্ত দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া হবে বলে উপাচার্য আশ্বস্ত করেছেন। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আশ্বাসের উপর আস্থা রেখেছে। অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা না হলে, আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ইতোমধ্যে আমরা দুটো তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি নিজেদের মতো তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেইসাথে প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছে, শিক্ষার্থীদের সাথেও আমি কথা বলেছি। আমি শিক্ষার্থীদের সাথে বসে দ্রুতই সমাধানের চেষ্টা করবো।
অন্যদিকে গতকাল আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ও অভিযোগে বিভাগের শিক্ষকদের সম্মান হত্যা হয়েছে বলে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেছে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আমরা নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার বিচার দাবি এবং নিরপরাধ শিক্ষকদের সম্মানহানির প্রতিবাদে এখানে দাঁড়িয়েছি। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার ফলে বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষক ও বিভাগের সম্মান নষ্ট হয়েছে। কোনো গ্রুপ তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে এই আন্দোলনগুলোকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাচ্ছে। আমরা সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে ফেরার আহ্বান জানাই।
এর আগে গত সোমবার (৪ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীসহ একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।