সাজন সাহার কাণ্ডে ‘বিব্রত’ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সৌমিত্র শেখর
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার কাণ্ডে বিব্রত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেছেন, তারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
সোমবার (০৪ মার্চ) ঘটনাটি সামনে আসার পর এদিন বিকেলে ভুক্তভোগীর ছাত্রীদের বন্ধুদের অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান। এসময় তিনি ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
উপাচার্য বলেন, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধ এমন অভিযোগ সত্যি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের এমন বিষয়ের মুখোমুখি হতে হবে, এটা আমাদের প্রত্যাশার মধ্যে ছিলো না।
‘‘আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের উন্নয়নে কাজ করছিলাম। ঢাকা থেকে দক্ষ লোকজন এখানে এসেছেন। এর মাঝে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে এখন আমাদের সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।’’
এরে আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে অশোভন ইঙ্গিত ও হেনস্তার অভিযোগ তোলেন এক ছাত্রী। তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অংক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা ও প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া এবং থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার অভিযোগ তোলা হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যে ছাত্রী সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তার বন্ধু-বান্ধবরা এসে আমার কাছে ওই শিক্ষক সম্পর্কে প্রাথমিক অভিযোগ আমাকে জানিয়েছেন। ছাত্রী প্রসঙ্গে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে আমরা আসলে বিব্রত। আমরা এ ধরনের কোনো ঘটনাই প্রত্যাশা করি না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো শিক্ষকের কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করে না জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। এই মুহূর্তে আমরা ওয়েবসাইটের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছিলাম, তার মাঝে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।