০৩ মার্চ ২০২৪, ২২:১৫

শিক্ষা সমাপনীতে টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (৩ মার্চ) রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, “অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের বিভাগীয় সভাপতিগণকে জানানো যাচ্ছে যে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা সমাপনী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০/- (দুইশত) টাকা হারে রেজিস্ট্রেশন ফি সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক বিভাগ থেকে কতিপয় শিক্ষার্থী টাকা জমা দেয়, বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই টাকা জমা দেয়নি। এমতাবস্থায় বিভাগীয় সভাপতিগণকে বিভাগীয় ফান্ড থেকে শিক্ষার্থী প্রতি ২০০/- (দুইশত) টাকা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “শিক্ষার্থীরা ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী প্রতি ৩০০/-(তিনশত) টাকা বিভাগে জমাদানপূর্বক বিভাগীয় প্রধান ক্লিয়ারেন্স ফরমে স্বাক্ষর করবেন। শিক্ষার্থী প্রতি ২০০/- টাকা ০৪/০৩/২০২৪ইং তারিখ দুপুর ১২ টার মধ্যে শিক্ষার্থী উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী মো. সালাউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার ক্লাসে এমন অনেক বন্ধু আছে যারা র‌্যাগ ডে নিয়ে এসব সংস্কৃতির থেকে সব সময় দূরে থাকতে চায়। কিন্তু প্রশাসনের এমন অযৌক্তিক বিজ্ঞপ্তি আমাদেরকে টাকা দিতে বাধ্য করাচ্ছে। আমরা বাধ্য কারণ টাকা না দিলে সার্টিফিকেট ইস্যু হবে না। একজন শিক্ষার্থী র‌্যাগ ডে তে নাই থাকতে পারে এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। প্রশাসনের এমন অযৌক্তিক এবং প্রহসনমূলক আচরণ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে ব্যাহত করে যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে মোটেও কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

সমাপনী ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী রাফিয়া খানম বলেন, “শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে সহযোগিতা না করে শিক্ষার্থীদের উপর জোর করে টাকা চাপিয়ে দেয়া প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। একজন শিক্ষার্থী হিসাবে মনে করি, এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নিয়ম নয়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, “যারা এই বিষয়ে দায়িত্বে আছে তারা বলতে পারবে। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি সাক্ষর করেছি এটা প্রশাসনিক আদেশ। কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে যারা দায়িত্বে আছে তারাই বলতে পারবেন।”

প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার (৪ই মার্চ) কালার ফেস্টের মধ্য দিয়ে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ৫ই মার্চ কনসার্টের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান “অদ্বিক-০৮”।