ইবির বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে জুতা পায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

ইবির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে জুতা পায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস
ইবির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে জুতা পায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস  © টিডিসি ফটো

ব্যাচ ডে অনুষ্ঠানের নামে জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে উল্লাস, নাচানাচি, ফটোসেশন ও কালার ফেস্ট করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল কথা লেখা দেখা যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে আনন্দ র‌্যালি শেষে ফ্লাশমবের জন্য প্রধান ফটকে ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে বেলা ১১টার দিকে ম্যুরালের সামনে ফ্লাশমব সম্পন্ন করেন। ফ্লাশমব  শেষে বেলা ১২টার দিকে কালার ফেস্ট শুরু করেন তারা।

এক পর্যায়ে গ্রুপ ছবি তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের সবাই মুত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে সামনে সমবেত হলে তাদের মধ্যে ২০-২৫ জন জুতা পায়ে ম্যুরালের বেদিতে উঠে যান এবং উল্লাস করতে থাকেন। 

ম্যুরালের বেদিতে অবস্থানকালেও তাদেরকে রঙ ছোড়াছুড়ি ও নাচানাচি করতে দেখা গেছে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে জুতা পায়ে ম্যুরালের বেদীতে ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের একে অপরকে তাদের গায়ে পরিহিত সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ শব্দ ও অশ্লীল বাক্য লিখতে দেখা যায়।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের ব্যাচ ডের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বিষয়টি ম্যুরাল অবমাননা শামিল উল্লেখ করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।

ব্যাচ ডে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বলেন, আমরা সবাইকে ম্যুরালে উঠতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি। এটা আমাদের প্রথম আয়োজন, যার কারণে ভুল হয়ে গেছে। সামনের আয়োজনগুলোতে আর এই ধরনের ভুল হবে না।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জাতির পিতার ম্যুরাল সকলের কাছে শ্রদ্ধা, আবেগ এবং ভালোবাসার জায়গা। এভাবে সেখানে জুতা পায়ে উঠে উল্লাস করা এবং রঙ ছোড়াছুড়ি করা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং জঘন্য একটি কাজ। আমরা বিষয়টা প্রশাসনকে অবহিত করবো। যারা এ কাজ করেছে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সেখানে পাঠিয়েছি। বিষয়টা মনিটরিং করা হচ্ছে। শনিবারে এ বিষয়ে বসবো।


সর্বশেষ সংবাদ