০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৩

জাবি ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশে ‘ধর্ষক’ মোস্তাফিজকে আশ্রয়, গায়েব সিসিটিভি ফুটেজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরকে আশ্রয় ও সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ সরানোর নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টা ১৫ মিনিটে অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান মীর মশাররফ হোসেন হলের রান্নাঘরে গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে যায়। পরে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় মূল অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর আশুলিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।

বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের নির্দেশেই মোস্তাফিজুরকে পলায়নে সহায়তা করে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতা সাগর সিদ্দিকী। এবং সভাপতির নির্দেশেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে আশ্রয় দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলের চাপে ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেন মোস্তাফিজুর।

মুস্তাফিজুরকে আশ্রয় দেয়ার সময়কালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সকল সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো ফুটেজ রেকর্ড হয় নি। তবে সরেজমিনে সিসিটিভি সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সকল ফুটেজ রয়েছে এবং সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড হচ্ছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘আমি হলে যাব, হলে গিয়ে দেখব, আমি ছুটিতে ছিলাম। গত রাত্রেই ফিরেছি কুষ্টিয়া থেকে। হলে গিয়ে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখব ঘটনাটা কি ঘটেছে।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে  ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নং কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে মীর মশাররফ হোসেন হলের পেছনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও মামুনুর রশীদ মামুন।