চবি উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে ক্লাসে যাননি ৯০ শতাংশ শিক্ষক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির ডাকা সর্বাত্মক ৪ দিনব্যাপী কর্মবিরতির প্রথম দিনে ক্লাস নেয়নি ৯০ শতাংশ শিক্ষক। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকগণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক এ সময়ের মধ্যে কোন ক্লাস নেন নি। আমাদের জানামতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতি চলাকালীন সময়ে কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি।
এতে আরও বলা হয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত এবং প্রশাসন থেকে নানান ধরনের সুবিধাভোগী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শিক্ষক ক্লাস নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত
এর আগে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৪ দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচির বিষয়টি জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। আজ থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন যা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির 'না' করা সত্ত্বেও চবিতে বাংলা বিভাগে ৭ জন ও আইন বিভাগে ২ জন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৭ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি। পরে কয়েকজন প্রার্থীকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন অভিযোগ করে অনশন কর্মসূচি ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক সমিতি।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম 'বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩' লঙ্ঘন করা এবং অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে এবার তারই ধারাবাহিকতায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করলো শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।