চবিতে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত শিক্ষককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত
- চবি
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০১ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন একই বিভাগের এক ছাত্রী। সেই শিক্ষকের শাস্তিসহ দুই দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো অভিযুক্ত শিক্ষক কে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের হাতে ব্যানারে লিখা ছিলো ‘ধর্ষণ চেষ্টাকারী শিক্ষক মাহবুবুল মতিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’। পাশাপাশি Raise your voice against sexual harassment; যৌন নিপীড়কের স্থায়ী বহিষ্কার চাই; অস্থায়ী শাস্তি আর নয়, স্থায়ী সমাধান চাই; বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্তাকারী কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আমার বোন লাঞ্ছিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই; একটা দুইটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর ইত্যাদি লেখা সংশ্লিষ্ট পোস্টার দেখা যায়।
আন্দোলনরত ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত নূর বলেন, মূলত দুইটি দাবিকে কেন্দ্র করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেগুলো হলো ওই শিক্ষক কে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করতে হবে। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শিতু বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক থিসিস ল্যাবে আমাদের বিভাগের এক শিক্ষার্থী কে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এটি আজকেই প্রথম না। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে তিনি আগের সিনিয়র আপুদেরকেও এভাবে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। আমরা এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসন থেকে আমাদেরকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আশ্বাস দিয়েছে। এরপরে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিবে এবং ব্যবস্থা নিবে। তখন যদি আমাদের দাবি পূরণ হয় তাহলে আন্দোলন বন্ধ হবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী কে নিয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এর আগে, রসায়ন বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। অভিযোগে বলা হয়, থিসিস চলাকালীন সুপারভাইজার (অধ্যাপক) কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। ল্যাবে একা কাজ করার সময় এবং কেমিকেল দেয়ার বাহানায় নিজ কক্ষে ডেকে দরজা আটকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক।