ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র ছাড়া ভ্যান চালানো যাবে না ইবিতে
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভ্যানচালকদের নিবন্ধন শেষে ইউনিফর্ম ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধনবিহীন কোনো চালক ক্যাম্পাসে ভ্যানগাড়ি চলাতে পারবে না। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে চালকদের আনুষ্ঠানিকভাবে আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম প্রদান করা হয় ।
জানা যায়, অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০জন ভ্যানচালককে বিশ্ববিদ্যালয় নাম সম্বলিত ইউনিফর্ম এবং নাম, ঠিকানা ও রেজিঃ নং সম্বলিত আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে আরো ৫০ জনসহ মোট ১০০ জনকে এ কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত ভাড়া পাঁচ টাকা ও ক্যাম্পাস থেকে ক্যাম্পাসের বাইরে আলোচনা সাপেক্ষে ভাড়া নিতে পারবেন ভ্যানচালকরা।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মানুনুর রহমান ও টিএসসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল। এছাড়াও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সহকারী প্রক্টর ড. আরিফুল ইসলাম, ইয়ামিন মাসুম, কাজী মওদুদ আহমেদ ও মিঠুন বৈরাগীসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্যসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসনের এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে সুজন আলী নামে এক ভ্যানচালক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের একটি পরিচয় দিয়েছে। ক্যাম্পাসে ভ্যানচালকদের সাথে অনেক সময় বিভিন্ন অঘটন ঘটে, যার দায়ভার সবাইকে নিতে হয়। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে প্রকৃত অভিযুক্তকে সনাক্ত করা যাবে। তাছাড়া অনেক অনভিজ্ঞ ভ্যানচালক ক্যাম্পাসে ভ্যান চালাতে আসে, যারা ক্যাম্পাসকে ঠিকভাবে চিনে না। তাদেরও সনাক্ত করা যাবে। সবমিলিয়ে বিষয়টি আমাদের উপকার বয়ে আনবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভ্যানচালক ভাইদের সম্মানিত করেছে। তারা নতুন একটি পরিচয় পেয়েছে। কেউ অঘটন ঘটালেও তাকে সনাক্ত করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার ও অপরাধ সনাক্ত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছি। এ কার্যক্রম শেষ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পরিচয়হীনভাবে ভ্যানচালকরা ভ্যানচালাতে পারবেন না। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেকটা সুশৃঙ্খল হবে বলে মনে করি।