২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৬

কুবির ১০ ছাত্রী পেলেন উইমেন হোপ বৃত্তি

  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের মেধাবী ও অস্বচ্ছল ১০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করেছে উইমেন হোপ ফাউন্ডেশন। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে লোকপ্রশাসন বিভাগ ও উইমেন হোপ আয়োজিত 'ডাব্লিউএইচএফ স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড' অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

বিভাগটির শিক্ষার্থী মাঈশা সুবহা প্রমির সঞ্চালনায় এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উইমেন হোপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুকাদ্দিম বিন মুসতাইনুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ও কো-ফাউন্ডার দিলশাদ জামাল মিতা।

এসময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুকাদ্দিম বলেন, যেকোন প্রচেষ্টা আসে আমাদের কোন আলোচনা থেকে, আর প্রচেষ্টা থাকলে সফলতা আসবে। তেমনি কোন এক আলোচনায় আমরা এদেশের পিছিয়ে থাকা নারীদের জন্য কাজ করার চিন্তা করি। তারই প্রেক্ষিতে উইমেন হোপ ফাউন্ডেশনটি গঠন করেছিলাম। আমরা প্রথমে একক মায়েদের জন্য কাজ করার ভাবনা থেকে শুরু করেছিলাম। আমরা জানি একজন একক মাকে সমাজে নানা জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকক্ষেত্রে শুভকর নয়। তাদের পাশে দাড়াঁনোর ভাবনা থেকে আমাদের ফাউন্ডেশনের সৃষ্টি। আমরা এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর সুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের আমরা বৃত্তি প্রদান করছি। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে নারীরা  এগিয়ে যাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন বলেন, উইমেন হোপের এই স্কলারশিপ আমাদের নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমি মনে করি এটি শুধু শিক্ষার্থীদের নয় পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে তা নয়, এটি তাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। আমি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা তাদের প্রোগ্রামে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে সংযুক্ত করেছে। আমি আহ্বায়ন করবো সামনে লোকপ্রশাসন ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য যেন এমন স্কলারশিপের ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা দেখেছো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে অনেকগুলাে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের তহবিল থেকে আমরা মেধাবী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ৪০৬ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্কলারশিপ দিয়েছি। খেলাধুলার জন্য স্কলারশিপ দিয়েছি। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আমি নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছি যাতে আমার শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ বৃদ্ধি করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি অর্জন হবে একাডেমিক অনুশীলন, গবেষণা, স্কলারশিপ এবং শিক্ষার্থীদের উন্নতির মাধ্যমে। আমার শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধাশীলতা এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে দেশের সুনাগরিক হয়ে উঠবে। এসময় তিনি ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট জিয়া উদ্দিন, উইমেন হোপ ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হাবিবা সুলতানাসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।