তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের কর্মব্যস্ততা
উত্তরের জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। বিগত দিনের তুলনায় কমেছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশা আর শীতে নাকাল উত্তরের এ জনপদ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। বিগত কয়েক দিন ধরে হাড় কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
ঘন কুয়াশার কারণে ৩ দিন সূর্যের দেখা মেলেনি এ এলাকায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। যা এ জেলায় এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এছাড়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মব্যস্ত জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়াশা ঠেলে সূর্যটা উঁকি দিতে দিতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়, কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের তো আলসেমি করার সুযোগ নেই। সকালে কোনোমতে ব্রাশ করে খাবার খেয়ে তারা ছুটছেন ক্লাস করতে, কেউ বা ল্যাব করতে, আবার কেউ পরীক্ষা দিতে। শীতের মধ্যে ক্লাস নেওয়া কঠিন হলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যাতে ক্ষতি না হয় তাই শিক্ষকরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে পিছপা হচ্ছেন না। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস নিচ্ছেন।
তীব্র শীতে ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের চায়ের আড্ডাও বেশ জমে ওঠে। ক্লাস শেষে বন্ধুরা একসাথে মিলে বের হয় চায়ের দোকানে। সেখানে গরম গরম চা খেতে খেতে গল্প শুরু হয়। বন্ধুদের সাথে চায়ের আড্ডায় নানা রকমের গল্প হয়। ক্লাসের গল্প, বন্ধুদের গল্প, পরিবারের গল্প, এমনকি দেশের গল্পও হয়।
হাবিপ্রবির ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী অ্যানিভা এলিজ বলেন, কয়েকদিন ধরে সময়ের সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশা মোড়ানো সকাল দেখতে অনেকটা রাতের মতো। বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা। প্রচণ্ড শীতে যেখানে রুম থেকে বের হওয়াই মুশকিল। শীতের কাপড় পরিধান করেও মাঝে মাঝে দমকা বাতাস ঠাণ্ডায় মুড়ে দিচ্ছে। তবুও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে থেমে নেই ক্লাস, এক্সাম ও যান্ত্রিক জীবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরবর্তী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন ক্লাস করতে যাওয়া আসা সমস্যা হলেও শত বাধা উপেক্ষা করে আমরা সবাই ছুটে যাই আমাদের ভালোবাসার ক্যাম্পাসে নিজেদের প্রয়োজনে।