এক আবেদনে সার্টিফিকেটসহ ১৯ সেবা পাবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট, এডমিট কার্ডসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত ১৯টি সেবা এখন থেকে একই আবেদনে গ্রহণ করতে পারবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থীকে ফি জমা দিতে ব্যাংকে যেতে হবে না। এরফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী তার কাক্সিক্ষত সেবা পাবে। শুধু তাই নয়, যে বিষয়ে আবেদন করা হবে তা প্রস্তুত হলে অটো এসএমএস চলে যাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে ও মেইল আইডিতে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবাগুলো যাতে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এক আবেদনে পেতে পারে সে জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সেবা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। দ্রুত ও স্বল্প মূল্যে সেবা প্রদানের জন্য নতুন সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এরফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অল্প সময়ের মধ্যে সেবা পাবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯ টি সেবা একই আবেদনে পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd) প্রবেশ করে সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে স্টুডেন্ট লগিনে গিয়ে এক্সামিনেশন সার্ভিস মেন্যুতে যেতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে কমবাইন্ড সার্ভিস মেন্যুতে ক্লিক করে ডকুমেন্টস কারেকশন মেন্যুতে ক্লিক করে ৬টি সেবা একসঙ্গে গ্রহণ করতে পারবে। এই সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট (দ্বিতীয় বার)। আর ডুকমেন্টস ডুপলিকেট মেন্যুতে ক্লিক করে ৪টি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, অরজিনাল সার্টিফিকেট।
একইভাবে ইমপ্রুভমেন্ট মেন্যুতে ক্লিক করে ২টি সেবা নিতে পারবে। এরমধ্যে রয়েছে- মার্কশিট, সার্টিফিকেট। ট্রান্সলেশন মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৩টি সেবা। এর মধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট। ফ্রেস কপি মেন্যুতে ক্লিক করে নিতে পারবেন ৪টি সেবা। এরমধ্যে রয়েছে- এডমিট কার্ড, মার্কশিট, প্রভেশনাল সার্টিফিকেট, অরজিনাল সার্টিফিকেট। এই সেবাগুলো একজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে নিতে পারবে। আবার আগের মত আলাদাভাবেও সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তবে একসঙ্গে আবেদন করলে অর্থ এবং সময় উভয় দিক থেকেই সাশ্রয় হবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত এ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) দপ্তরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা, ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সেলের সচিব ড. আলী জাফর চৌধুরী।