৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:২৮

৭ কর্মচারীকে সম্মাননা দিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মত দাপ্তরিক কাজে স্বচ্ছতা, দক্ষতা, জবাবদিহিতা, সততা, নৈতিকতা, সেবা প্রদানে দক্ষতা, আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার জন্য ৭ কর্মচারীকে সম্মাননা প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। 

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ এবং অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. গোলাম মর্তুজা তালুকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এ বছর এপিএ মূল্যায়নে এগিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য বড় একটি অর্জন, এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আপনাদের পরিশ্রম ও সহযোগিতার জন্য। আজকের এই অবদানও ভাল কাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের এবারই প্রথম কোন সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। এটি আপনারা পেয়েছেন আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং স্বতন্ত্রতার জন্য। এই সম্মাননার জন্য আপনারা সকলেই যোগ্য কিন্তু আমাদেরকে বাছাই করে দিতে হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, আমরা এ সম্মাননা দেয়া শুরু করেছি এবং এটা চলমান থাকবে। আমি শুধু সম্মাননা দিয়েই শেষ করতে চাই না। কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আমাদের আরো ভালো মানের সেবা প্রদানে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেজন্য আমরা ইতিমধ্যে দুইটি পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রথমত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মাইক্রোসফট অফিস ট্রেনিং দেওয়া এবং অফিসিয়াল নিয়মনীতি ও পেশাগত আচরণ মেনে সেবা প্রদান করতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের জন্য আরো একটি ঐতিহাসিক দিন কারণ, আজ আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। গত একবছরে আমাদের সকল কাজের হিসাব এখানে পাবেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেজন্য আমরা সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছি। আমরা এভাবে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে চাই এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ বৃদ্ধি করতে চাই।

সম্মাননা পাওয়া কর্মচারীরা হলেন- রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিস অ্যাসিসটেন্ট কাম ডাটা প্রসেসর শ্যামল কুমার দাস, আইসিটি বিভাগের আবদুল করিম, বাংলা বিভাগের মো. জিয়াউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. আনিসুজ্জামান জুয়েল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অর্ডারলী পিয়ন আহসান উল্যাহ, নিরাপত্তা শাখার প্রহরী আবু কাউছার, উপাচার্য দপ্তরের অফিস সহায়ক মো. আবুল বাসার।