কুবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মোর্শেদ কাজেমের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দশজন শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারক লিপির সাথে শিক্ষক মোর্শেদ কাজেমের বিয়ের বিনিময়ে সেমিস্টারে টেনশন না করাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের বিষয়গুলো সংযুক্ত করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, আইন বিভাগের ১২১তম একাডেমিক সভায় কোর্স ভাগাভাগি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মো আবু বকর সিদ্দিক মাসুম স্যারকে বিভাগের জুনিয়র শিক্ষক মু. আলী মোর্শেদ কাজেম স্যার মারধর করেছেন। পত্র-পত্রিকায় এই বিষয়টি প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মারধরের ঘটনায় বিব্রত বোধ করছি।
স্মারক লিপিতে আরও বলা হয়, মু. আলি মোর্শেদ কাজেম স্যারের বিরুদ্ধে কর্মচারী ফরিদকে মারধর করা, ম্যাডামকে মারতে তেড়ে যাওয়া, সুন্দরী স্টুডেন্টদের ইনবক্সে বিরক্ত করা, পছন্দের ছাত্রীকে ইনটেনশনালি নাম্বার বাড়িয়ে দেয়া, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয়া, ছাত্র- ছাত্রীদের রাতে বাসায় ডেকে আপ্যায়ন করা, পছন্দের ছাত্রীর সাথে চ্যাট করায় ১ম ব্যাচের এক ছাত্রকে লাস্টের কয়েকটা সেমিস্টারে সি (C) গ্রেড দেওয়া এবং ক্লাসে পড়াতে না পারাসহ নানাবিধ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা অভিযুক্ত স্যারের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিরাপত্তাহীন ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ধসের ভয়ে রানিং স্টুডেন্টরা বিশেষ করে ছাত্রীরা তাদের ওপর যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
স্মারক লিপি প্রদানকারীদের পক্ষ থেকে এডভোকেট সাব্রী সাবেরীন গালিব বলেন, আমাদের শিক্ষকের যে সম্মানহানি হয়েছে আমরা তার বিরুদ্ধে এবং ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এ ধরণের গর্হিত কাজ না করতে পারেন তার জন্য আমাদের এই স্মারকলিপি প্রদান।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনকে ১৫ কার্যদিবস সময় দিয়েছি। ভিসি স্যারও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিবেন। যদি তিনি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।