২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০১

ফুটবল খেলা নিয়ে মারামারিতে জড়াল কুবি শিক্ষার্থীরা

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়ায় কুবির শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ ও অর্থনীতি বিভাগের ১৬ তম  ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালীন সময়ে মো. হাসান খেলতে চাইলে তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। এর কিছুক্ষণ পর মামুন বল নিয়ে গোল করতে আসলে হাসান তা শর্ট দিয়ে মাঠের বাইরে ফেলে দেয়। এরপর মামুন এসে তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার সাথে সাথে হাসান মামুনকে পাল্টা ঘুষি দিলে উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয় এবং মামুনের বন্ধু সোহাগ, ফরহাদসহ আরও কয়েক জন এসে হাসান কে মারধর করে। 

এই ঘটনার রেশে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে হাসান ও তার সাথের অন্তত ২০জন এসে মামুন ও তার বন্ধুদের সাথে বাকবিতণ্ডা ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে । এসময় সময় উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়। 

মামুন বলেন, ১৬তম ব্যাচের একটা ছেলে এসে বললো আমি খেলবো। ও একা থাকায় আমি বলেছিলাম কিছুক্ষণ পরে খেলো। আমি যখন গোল করতে গেলাম তখন ও বলটাকে লাথি মারে। আমি লাথি মারার কারণ জানতে চাইলে সে লাথি মারার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আমার কলার ধরে আমাকে আঘাত করে। এরপর উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হলে পিছন থেকে জুনিয়ররা এসে আমাকে একপাশে নিয়ে যায়। তখন সিনিয়র দুজন এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। সন্ধ্যার সময় ছেলেটি আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুনরায় মীমাংসা করতে বলে। তখন আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে দেখা করতে যাই। হঠাৎ করে দেখি প্রায় ২০ জন 'মামুন কে, মামুন কে' বলে আমাদের দিকে তেড়ে এসে আমাদের মারধর করে। তখন আমি,  আমার বন্ধু আলামিন ও সোহাগ আহত হয়।

অন্যদিকে হাসান বলে, আমি বিকালে যখন মাঠে খেলতে যাই তখন আমার বন্ধু আলভীকে বলেছিলাম বন্ধু আমি খেলবো। তখন আলভী বলতেছিল লোক বেশি তুই খেলতে পারবি না। এরপর খেলা চলাকালীন সময়ে যখন একটা বল আউট হয়ে আমার কাছে আসে তখন সেই বলটি আমি তাদের কাছে মেরে দেই। পরবর্তীতে আলভী যখন আমাকে তাদের দলের খেলতে নেয়, ঠিক তখনই  মামুন ভাই আমাকে শাসিয়ে বলতেছিল যে, আমি কেন বল মারলাম? তখন আমি ভাইকে বলেছি বলটা আউট ছিল। আমার কথা শেষ না হতে হতেই বল মারার কারণ দেখিয়ে মামুন ভাইসহ আরো ৩/৪ জন মিলে আমাকে মারে।

এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি। আমাদের দুইজন সহকারী প্রক্টর পরে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন।