ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট

ইবিতে অবস্থান ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচী পালন করছে শিক্ষার্থীরা
ইবিতে অবস্থান ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচী পালন করছে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও শরীয়াহ অনুষদভূক্ত আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিভাগের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচী পালন করে তারা।

এসময় আন্দোলনকরী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আইন ও শরীয়াহ অনুষদভূক্ত আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে অধিকাংশ কোর্সই আইনের। একই বিষয় পড়ার পরও আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগকে মানবিক অনুষদভূক্ত করা হলেও আল ফিকহ্ বিভাগকে কেন আলাদা করা হয়েছে?

তারা আরো জানান, ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের বিভাগের মানকে ক্ষুন্ন করেছে। আমরা চাই আমাদের বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা আগের নিয়মেই অনুষ্ঠিত হোক। যদি প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচী পালন করব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিভাগে আসতে পারিনি। মঙ্গলবার বিভাগে এসে একাডেমিক কমিটির সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিব।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ও মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে নেওয়ার সিন্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। এরই প্রতিবাদে বেলা ১১টায় ক্লাস বর্জন করে বিভাগের সামনে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে একই দাবিতে সেমাবার (৩ সেপ্টেম্বর) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত অন্য সকল বিভাগ ‘বি’ ইউনিটের অধীনে থাকলেও আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ধর্মতত্ব অনুষদের অধীন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার বিভাগের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে তারা।

এ বিষয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এটা প্রশাসনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। যদি আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের পরীক্ষা থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের অধীনে হয় তাহলে আমরা আরবী জানা শিক্ষার্থী পাব কিন্তু সাহিত্য ও সংস্কৃতি মনা শিক্ষার্থী পাবনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আরবী একটি সাহিত্য সম্পর্কিত বিভাগ। স্বাভাবিকভাবে মানবিক অনুষদের সাথে পরীক্ষা হবে এটাই নিয়ম। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়েও আরবী সাহিত্য মানবিক অনুষদের অধীনেই তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে। সুতারাং আগের নিয়মেই পরীক্ষা নেওয়া আমাদের জোর দাবি।’


সর্বশেষ সংবাদ