রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফখরুল, সম্পাদক রিফাত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রিফাত-উর-রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে সকল পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফখরুল-রিফাত পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছেন। আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত সমিতির সদস্যরা। এই কমিটির মেয়াদকাল ১ বছর।
নির্বাচিত অন্যান্যরা হলেন—সহ-সভাপতি পদে ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পদে শারমিন সুলতানা। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- বরুণ চন্দ্র রায়, বিজন কুমার, নুসরাত জাহান ও দেবশ্রী দোলন।
সমর্থন প্রদানের জন্য সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছি যখন বিশ্ববিদ্যালয় নিমার্ণে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের নামের প্রতি সুবিচার করবে এই প্রত্যাশা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুজনেই রবীন্দ্র অনুরাগী। বিশ্বজনের নিকট রবীন্দ্রনাথকে চিরসমুজ্জ্বল রাখতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সদা সচেষ্ট।
সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. রিফাত-উর-রহমান বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক যেন তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং একইসাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস রেখে প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেহেতু বিশ্বকবির নামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমরা এই দায়িত্ব যেন সুচারুরুপে পালন করতে পারি এই প্রত্যাশা আমাদের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কাছে।