১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪১

৩৫ লাখ শিক্ষার্থী স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ করছে: উপাচার্য

অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান  © ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আমরা শহীদদের স্মরণ করি এ কারণে যে, আমরা এর মধ্যে সত্য অনুসন্ধান করি। নিজেদের শাণিত করি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করেছে। আমাদের ৩৫ লাখ শিক্ষার্থী স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে ‘রক্তঋণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মৃতিচারণমূলক এ সভার আয়োজন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তানেরা সেই সময়ের নির্মম ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়া  দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, কবি, সাহিত্যিকরা ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। 

অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, বাঙালির মূল স্রোত বুদ্ধিজীবীদের ধারণ করে এবং হত্যাকারীদের প্রত্যাখ্যান করে। আমি মনে করি, কোনো হত্যাকারীর সন্তান পিতার আত্মপরিচয়ে গর্বিত হতে পারে না বরং ঘৃণা এবং বিক্ষোভে থাকার কথা।

তিনি বলেন, শহীদ পরিবারের যারা সন্তান তারা আমাদের গৌরব, আমাদের ভালোবাসা, আমাদের প্রীতি, আমাদের আলিঙ্গন। তারা সবকিছুর মধ্যে বছর জুড়ে থাকে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। এটি একটি সরকারের সময়ে বন্ধ করা হয়েছিল। আমরা আবার চালু করেছি।

‘‘আমার শিক্ষার্থীরা যাতে আলোকিত হয়, বাংলাদেশকে চেনে, জানে। সে যেন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ে উজ্জীবিত হয় এবং ১৪ ডিসেম্বরের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে পারে। নতুন করে বিজয়ী ভাবনাকে আজন্ম লালন করতে পারে।’’

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি স্মরণ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ। স্মৃতিচারণ শেষে সন্ধ্যায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আগত অতিথিবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।