লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ মারা গেছেন
ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ড. মো. ফরিদ আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্ন্ লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে মো. ফরিদ আহমদ মারা যান।
ফরিদ আহমদের বড় ভাই অধ্যাপক আবদুল বাতেন জানান, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক ছেলে ও এক কন্যাসহ বহু গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন। তিনি কয়েক দিন আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩১নং ওয়ার্ডের রাহাপাড়া পাখির টেক গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে জয়দেবপুর রাজবাড়ি মাঠে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. মো. ফরিদ আহমদ বাংলাদেশের নদ-নদী, ভাওয়ালের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গাজীপুরের ভৌগলিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য এই চারটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি আজ এক শোক বার্তায় গাজীপুরের বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ড. মো. ফরিদ আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়া ভাওয়াল একাডেমি, গাজীপুর সাহিত্য পরিষদ, গাজীপুর উন্নয়ন পরিষদ ঢাকাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠন ড. মো. ফরিদ আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।