ফাটল ধরা তিন হলের অবস্থা যাচাই-বাছাই হচ্ছে: কুবি ভিসি
ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফাটল ধরা তিন হলের প্রকৃত অবস্থা যাচাই-বাছাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) হলগুলো পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এসময় উপাচার্য হলগুলোর শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবরও নেন।
উপাচার্য বলেন, প্রকৌশলীরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে হলের কয়েকটি দেয়ালে সামান্য ক্ষতি ছাড়া কোনো কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ভবনগুলোর কাঠামোর প্রকৃত অবস্থা অধিকতর যাচাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ সরকারি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। প্রশাসনের নিকট থেকেও সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি।
এদিন ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এসময় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অন্যান্য প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৬। এ ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দুইটি ও মেয়েদের একটি হলে ফাটল দেখা দেয়।
হলগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের কিছু দেয়ালে ফাটল ধরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু হলের পাঁচতলার দক্ষিণ পাশের ব্লকের ৫০৪ নম্বর কক্ষের সামনের করিডরের মেঝের দুটি টাইলস উঠে গেছে। একই তলায় নতুন ও পুরাতন ব্লকের সংযোগস্থলের করিডরে ফাটল দেখা গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২০৪ ও ২০৫ নং কক্ষের মাঝের সংযোগস্থলে পুরো পাঁচতলায় ফাটল তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ২০৯নং কক্ষেও ফাটল দেখা যায়।
নজরুল হলের দোতালার ২০৭ নম্বর কক্ষের দেয়ালে, টিভি রুমের সামনের পিলারের সংযোগস্থলে; ফয়জুন্নেছা হলের পাঁচতলার ৫১১ নম্বর কক্ষে, ৫০৩ নম্বর কক্ষের ফাটল ও চারতলার ৪০৩ নম্বর সামনের করিডরে ফাটল দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারী গাড়ি চলাচল করলে এমনিতেই হলের কক্ষগুলো কেঁপে উঠে। গাড়ি ঐ সময়টাতে চলাচল করার কারণে প্রথমে ভেবেছিলাম তেমন কিছু না। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝাঁকুনির মাত্রা তীব্রতর হলে আমরা রুম থেকে বেরিয়ে আসি৷
জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার এসএম শহিদুল হাসান গতকাল শনিবার জানান, যে ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে দিয়েছে সেগুলো এক ভবনের সাথে আরেক ভবনের সংযোগস্থলে। কিন্তু কোনো বিম বা রড ঢালাই যেখানে দেওয়া হয়েছে সেখানে হয়নি। ফলে এখানে ভয়ের কিছুই নেই। এটি সহনীয় মাত্রায়। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।