জবি ভিসির তালিকায় তিন নাম, এগিয়ে সাদেকা হালিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম  © ফাইল ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ জন্য তিন জনের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে যেকোনো একজন জবির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এগিয়ে আছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে অন্য দু’টি নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে জানিয়েছেন, অধ্যাপক সাদেকা হালিমের উপাচার্য (ভিসি) হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে তিনিই হতে যাচ্ছেন জবির পরবর্তী উপাচার্য।

অপরদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তিন জনের নাম কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপক সাদেকা হালিমও আছেন। তবে এখনো কারো নাম অনুমোদন হয়ে আসেনি। অনুমোদন পেলে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে। 

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। 

তিনজনের নাম কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপক সাদেকা হালিমও আছেন। তবে এখনো অনুমোদন হয়ে আসেনি। অনুমোদন পেলে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

জবির নতুন উপাচার্য হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা অধ্যাপক সাদেকা হালিম উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

সাদেকা হালিম কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। তথ্য কমিশনের প্রথম নারী তথ্য কমিশনার ছিলেন তিনি।

পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনেট সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর কমিটিতে সদস্য ছিলেন। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন। জবিতে নিয়োগ পেলে তিনি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।

আরো পড়ুন: উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে জবি, সার্বিক কার্যক্রমে স্থবিরতা

এর আগে গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। চিকিৎসাধীন থাকায় গত আগস্ট মাস থেকেই ক্যাম্পাসে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।


সর্বশেষ সংবাদ