কুবির বাসে বহিরাগতদের হামলা, আহত ৯ শিক্ষার্থী
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী নীল বাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং বাসের বেশ কয়েকটি গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময় হামলাকারীদের একজনকে বাসে করে ক্যাম্পাসে ধরে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টায় শহর থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে ছেড়ে আসা নীল বাসে কুমিল্লা শহরের টমছম ব্রিজ সংলগ্ন ইউটার্ন পার হওয়ার সময় বাস হেলপার এক অটোকে সাইড করতে বলেন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে অটোতে থাকা দুইজনই তেড়ে আসে। পরে শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে কিছুই করতে পারেননি ঐ অটোচালকরা। পরে বুধবার আবারও ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল বাস ড্রাইভার ও হেলপারের উপর রড, এসএস পাইপ, লাঠি, গ্যাস পাইপ দিয়ে বাসে এলোপাতাড়ি আঘাত করে দূরে পালিয়ে যায়। পরে পালানোর সময় একজনকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।
আঘাতপ্রাপ্ত জুবায়ের মাহমুদ সাকিব বলেন, টমছম ব্রিজে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ২৫-৩০ জন লোক আমাদের বাসে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা, এসএস পাইপ এবং বাঁশ ছিল। হামলার পর আমরা কয়েকজন মিলে তাদের দৌড়ে ধরার চেষ্টা করি। আমি যখন ওদের ধরতে যাই, তখন এসএস পাইপ দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে। এতে আমার ডান হাতের কনুই মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
আঘাতপ্রাপ্ত আদনান হোসাইন শাহেদ বলেন, আমি বাসে জানালার ডান পাশেই বসছিলাম, তারা ওই দিক দিয়েই আঘাত করে। তখন আমি হাতের কনুইর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত হই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শহরে বহিরাগতরা আমাদের শিক্ষার্থী বাসে হামলা করে। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের মধ্য থেকে একজনকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। নিয়ে আসার পর আমরা প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসি। পুলিশ প্রশাসন এবং আমাদের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের অবগত করার পর আমরা এসেছি। যে ছেলেটা অপরাধী পরে তাকে আমাদের হেফাজতে নেই। আর এ ঘটনা যারা আহত হয়েছেন তাদের নাম-ঠিকানা নেওয়া হয়েছে। তারা যদি মামলা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।