‘দুইটা নিয়োগের একটা পুরো পেয়েছে বলে তার কোনো জ্বালা নেই’
ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির ফোনালাপ ভাইরাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০০ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১১ PM
নিয়োগে বাণিজ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের দুটি ফোনালাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চালক নিয়োগের অর্থ লেনদেনের বিষয়টি এতে উঠে এসেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসের নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত। এসব অডিওকে ‘সুপার এডিট’ উল্লেখ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তি চিহ্নিত করার আবেদন করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্সি কামরুল হাসান অনিক। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আরাফাতের পক্ষে ইবি থানায় তিনি এ আবেদন করেছেন। জিডি নং: ৯৬৮। আজ শনিবার ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জায়েদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিডির আবেদনে বলা হয়েছে, “সানজিদা আক্তার তানিয়া (Sanjida Akter Tania) নামক ফেসবুক আইডি থেকে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের ছবি অন্যান্যভাবে সংগ্রহ করে সুপার এডিটেড মিথ্যা অডিও রেকর্ডিং উক্ত ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করছে। ওই ফেসবুক আইডি থেকে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির ছবি সংযুক্ত অডিও রেকর্ডিং সমাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যামে পোস্ট করায় সভাপতি এবং শাখা ছাত্রলীগকে হেয় প্রতিপন্ন ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।”
“গত ২৪ নভেম্বর আনুমানিক সকাল অনুমান ১০ টায় আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ওই অপরিচিত ফেসবুক ব্যবহারকারী এবং উক্ত ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত মর্জি হয়। এ বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডাইরিভুক্ত করিয়া রাখা একান্ত প্রয়োজন।”
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, চাকরির বাণিজ্য সংক্রান্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় সানজিদা আক্তার তানিয়া নামক ফেসবুক আইডি থেকে ৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি এবং গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস নামক পেজ থেকে ৩ মিনিট ১২ সেকেন্ডের আরেকটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। রেকর্ডে চালক নিয়োগের দেড় মাসেও চুক্তি হওয়া ২০ লাখ টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ এবং এক চাকরিপ্রার্থীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করতে শোনা যায়। এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খানের নামও উঠে আসে।
সেখানে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘দুইটা নিয়োগের একটা পুরো পেয়েছে জয় (ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক)। নিজের বুঝটা পেয়েছে বলে এখন তার কোনো জ্বালা নেই। না হলে জয় এতক্ষণে পাগলা কুত্তার মতো হয়ে যেত। আর মিলন (নিয়োগ পাওয়া চালক) আমার বাড়ির পাশের আত্মীয় বলে তারটা আমাকে বুঝে নিতে বলেছে। ২০ লাখ দেওয়ার কথা সেই কবে! অন্যজনকে চাকরিটা দিলে টাকাটা সাথে সাথে পেয়ে যেতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, এটি সুপার এডিটিং একটি অডিও রেকর্ড। সংগঠন বিতর্কিত করার জন্য একটি মহল এটি করেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, অডিও ক্লিপটি সঠিক কিনা সেটা আমরা নিশ্চিত হয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।