‘উপাচার্যকে মেরে ফেলার’ সংবাদের প্রতিবাদ জবি শিক্ষক সমিতির
গত ১৫ নভেম্বর ‘বেঁচে থাকা অবস্থায়ই বাবাকে মেরে ফেলেছেন জবি শিক্ষকরা’ শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনামে প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের মেয়ে তাসলিম হক মোনার একটি বক্তব্য উদ্বৃত করা হয়েছিল। ওইদিন প্রয়াত উপাচার্যকে নিয়ে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপাচার্য কন্যা এ মন্তব্য করেছিলেন।
প্রকাশিত এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) সমিতির দেওয়া ওই প্রতিবাদলিপিতে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।
জবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত শোক সভায় উপাচার্য কন্যার দেওয়া বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জড়িয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
এতে বলা হয়, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য জবি প্রতিনিধির উক্ত অসত্য ও মানহানিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
‘‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি প্রয়াত উপাচার্যকে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও চাপের মধ্যে রেখেছিল এবং সিন্ডিকেট পেছানোর জন্য বারবার চিঠি দিয়েছিল বলে সরাসরি অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’
সমিতির প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, সত্যতা যাচাই না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এহেন সংবাদ প্রকাশ কখনোই কোন দৈনিক পত্রিকার নিকট কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ এবং সত্যতা যাচাইয়ের পর সংবাদ প্রকাশিত হওয়া উচিত বলে জবি শিক্ষক সমিতি মনে করে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের মেয়ে তাসলিম হক মোনা স্মরণ সভায় যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই সংবাদের শিরোনামে কোট-আনকোট প্রকাশিত হয়েছিল। এতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কোনো সম্পৃকতা নেই।