১৭ নভেম্বর ২০২৩, ২৩:১৬

প্রয়াত উপাচার্যের গবেষণা চুক্তির প্রজেক্টে অনুদান পেলো জবি

প্রয়াত উপাচার্যের গবেষণা চুক্তির প্রজেক্টে অনুদান পেয়েছে জবি  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জবি) মোট সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ প্রজেক্টের জন্য তিন বছরের অনুদান পেয়েছে। 

বুধবার ১৫ নভেম্বর এক সভায় প্রজেক্টের অনুমোদন সম্পর্কে জানানো হয়। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরবর্তী করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত বলা হয় সভায়। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গতবছরের এপ্রিলে প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জার্মানির টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি গবেষণাধর্মী সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ প্রজেক্টের জন্য আবেদন করে। 

প্রজেক্টের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, জার্মানীর টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের আইআইটি এলাহাবাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

ইরাসমুস প্লাস কেএ-১৭১ প্রজেক্টের আওতায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জার্মানির টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব সুবিধা পাবেন অনলাইনে। প্রোগ্রামের আওতায় গবেষকরা টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিট করতে পারবেন। কোলাবোরেটিভ পিএইচডি অর্থাৎ দেশে কেউ পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাস বা ছয় মাস থাকার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি শিক্ষকরাও টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেইনিং বা ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যেতে পারবেন কোর্স করাতে। 

এছাড়াও এই প্রজেক্টের আওতায় আগামী তিনবছরের জন্য আইসিটি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি লেভেলের শিক্ষার্থীরাও টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবেন। এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্যই গবেষণা।প্রাথমিকভাবে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই প্রজেক্টের অনুদান ১০০ কোটি ইউরো নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

ওইদিনের কিক-অফ সভার শুরুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রহমতউল্লাহ খোন্দকারের সঞ্চালনায় টিএইচএম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম্যাথিয়াস উইলেমস,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক সহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, এই প্রজেক্টের আওতায় গবেষণাধর্মী কাজ করা সহজ হবে। আনুষঙ্গিক খরচ প্রজেক্টের ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে৷ আগামী জানুয়ারি মাস থেকে প্রজেক্টটি কার্যকর হবে৷ এর মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ইরাসমুস অনুদানটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আইটি জগতের গবেষণার ক্ষেত্রে আরো ভূমিকা রাখবে। এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা। সিএসই বিভাগের ড. লায়েককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।