ব্র্যাকের ‘সমতন্ত্র’ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: বেরোবি ভিসি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ভিসি প্রফেসর ড. হাসিবুর রশিদ বলেছেন, ‘সমতন্ত্র’ ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের তৈরি করা নাম। আমার মনে হয়েছে, এটি আরেকটু সহজ ভাষায় নামটি করলে ভালো হত। এখানে এসে যতটুকু শুনলাম তাতে আমার মনে হয় ‘সমতন্ত্র’ শব্দটা যথাযথ হয়েছে মনে হয় না। যদিও আমি বাংলার ছাত্র না, তারপরেও ব্র্যাক আসলে যে উদ্দেশে কাজটি করতে চাচ্ছে। সেটা নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ব্র্যাক ও জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বিভাগের যৌথ উদ্যোগে সমতার পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে বিতর্ক ও আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এই কথা বলেন।
ড. হাসিবুর রশিদ বলেন, আমি যে লেভেলে বুঝি আমার সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সেই লেভেলে বুঝবে না। আমার ব্যক্তিগত পড়াশোনা ধ্যান ধারণা থেকে মনে হয় না এই শব্দ যথাযথ হয়েছে। আমার যেহেতু বুঝতে কষ্ট হয়েছে। আমার মনে হয় আমার শতভাগ ছাত্রছাত্রী এটা বুঝতে পারেনি। যে কোনো জিনিস বাস্তবায়ন করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। সেটা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা না। আমি এদের বললে এরা চুপ থাকবে কিন্তু আমাকে মানে জিজ্ঞাসা করলে তা বলতে পারব না। তাই ব্র্যাক কর্তৃপক্ষে বলব নামটি পুনর্বিবেচনা করতে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নারীর শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভর্তির সময় অনেকের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় থাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বেশ কিছু সংকট আছে। আমরা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। সব কিছু পরিষ্কার করে তাকে বলেছি। আশা করছি মেয়েদের ১০তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা হল আগামী ৬ মাস বা এক বছরের মধ্যে হবে।
জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুন্তলা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, বহিরাঙ্গনের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মীর তামান্না ছিদ্দিকা, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিজয় মোহন চাকী, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটির ডিরেক্টর নবনীতা চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ব্র্যাকের সমতন্ত্রের আয়োজনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। এই অনুষ্ঠানটিতে সমতন্ত্রের পোস্টারে এলজিবিটির প্রতীকের বিষয়টি সামনে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বয়কট করার ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী আল মিরাজ এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কিছু কখনোই গ্রহণীয় হতে পারে না। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ধ্বংস বয়ে নিয়ে আসবে।
সায়মুন নামে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, তারা মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমকামিতাকে সার্পোট করছে একই সাথে, এমন আয়োজন তারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও করেছে, সেখানেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেছে, আমরা এই অনুষ্ঠানকে বয়কট করছি।