কখনও মানবাধিকার কর্মী, কখনও সাংবাদিক— আসলেই প্রতারক ইবি ছাত্র মুরাদ
কখনও মানবাধিকার কর্মী, কখনও সাংবাদিক; আবার কখনও সমাজসেবক সেজে প্রতারণা ও চাকরির প্রলোভন দেখানো ছিল তার কাজ। পরে তার প্রতারণা বুঝতে পেরে বিচার চেয়ে মানববন্ধনও করেছে ভুক্তভোগীরা। অবশেষে শেষে কারাগারে ঠাঁই হলো সেই প্রতারক মেহেদী হাসান মুরাদ খানের।
গত রবিবার (৫ নভেম্বর) প্রতারণা ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তীতে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মুরাদ খান নিজেকে মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবক, ওয়াল্ড চাইল্ড ইয়ুথ ফোরামের পরিচালক হিসেবে দাবি করতেন। কোন নিবন্ধিত গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীও নন তিনি। তবুও তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা লেনদেন করতেন। চাঁদাবাজি, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। তার নামে থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলাও রয়েছে। পরে ভুক্তভোগীরা ক্ষিপ্ত হয় তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মুরাদ খানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে থানায় তার নামে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।