০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে: খুবি উপাচার্য

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন  © টিডিসি ফটো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এজন্য নবীন কর্মকর্তারা সব সময় সিনিয়রদের সম্মান করবে, সিনিয়ররাও নবীনদের স্নেহ করবে- এইভাবে তাদের মতো পারস্পরিক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত নবাগত কর্মকর্তাদের বরণ ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নামের সাথে প্রাপ্তি যেমন রয়েছে, তেমনি অতীত ও ভবিষ্যতের বিষয়ও জড়িয়ে রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা অনেক বেশি দক্ষ ও সুশৃঙ্খল। বিশেষ করে যারা সিনিয়র রয়েছেন, তারা সবসময় শিখতে চান। তাদের মধ্যে কোনো অহংকার নেই। সময়ের চাহিদা পূরণে তারা প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিতেও আগ্রহী। নবীন কর্মকর্তারাও শিখতে চান। তবে তাদের মধ্যে শেখা ও জানার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। সিনিয়রদের কাছ থেকে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে হবে।

উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা নিজস্বতা রয়েছে। এখানে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই কাজ করতে পারেন। যা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যায় না। অনেক কর্মকর্তাদের অফিস সময়ের পরেও কাজ করতে দেখা যায়। যা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী একটা বিষয়। তিনি বলেন, সকলের আন্তরিকতায় আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এই সুনাম ও ভাবমূর্তি ধরে রাখতে নবীন কর্মকর্তাদের নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে হবে। তাহলে প্রতিষ্ঠানও আপনাদের মূল্যায়ন করবে।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য নবাগত কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার দিয়ে সম্মাননা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এস এম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মণ্ডলের সঞ্চালনা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (পিআরএল) এস এম আতিয়ার রহমান, নবাগতদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন সহকারী প্রকৌশলী রিফাত জাহান। এসময় পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।