মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পেলেন খুবির ১১ শিক্ষার্থী
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন (এমবিএ) স্কুলভুক্ত ২টি ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স ও আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১১ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান রবিবার (৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ১৬ ব্যাচের নাবিলা আনজুম (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৭৯), ১৭ ব্যাচের আসিফ সারোয়ার (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭) ও শাহানাজ আক্তার (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭), ১৮ ব্যাচের মাহাবুবা সিদ্দিকা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৪) এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের আলমগীর হোসেন (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৭)।
ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ১৫ ব্যাচের তমালিকা বালা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৭৫), ১৬ ব্যাচের সায়মা ফলিয়া (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৭৭), ১৭ ব্যাচের গায়ত্রী অদিতি মিত্র (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৩), হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ১৬ ব্যাচের আলমগীর হোসেন (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৩), শেখ নিয়াজুর রহমান (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৬) এবং রুকাইয়া আবিহা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৪)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, পড়াশোনা এখন শুধু মুখস্ত বিদ্যার মধ্যে নেই, সমস্যা সমাধানকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এজন্য আমাদের এখন একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষার প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, মানবিক ও অন্যের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করতে হবে। দক্ষ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার মানোন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও গবেষণার পরিবেশ অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নত। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনের প্রথম যে শপথ নিয়ে তারা এখানে প্রবেশ করে, সেই শপথ রক্ষা করে রাজনৈতিক হানাহানি মুক্ত রেখেছে। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাঁদের চোখে আজ দেশ গড়ার এবং মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্ন। এই স্কুলের অ্যালামনাইরা দেশ-বিদেশে কর্মক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে। তাদের এই ধারা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা করি।
উপাচার্য বলেন, ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এটি দুই ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষে বেস্ট রেজাল্টের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা এমন ঈর্ষণীয় সাফল্যের মাধ্যমে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাপিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে- এটা শিক্ষকদের জন্য অন্যরকম প্রাপ্তি। উপাচার্য ডিনস্ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তির এই অনুপ্রেরণা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ জীবন আলোকিত করতে পারেন এবং তাদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি আলোকিত হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান চালু রাখায় সংশ্লিষ্ট স্কুলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নূর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মীর সোহরাব হোসেন। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের গায়ত্রী অদিতি মিত্র ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের শেখ নিয়াজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, সংশ্লিষ্ট স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।