০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:০৪

অবরোধে বন্ধ কুবির নিজস্ব বাস, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

  © টিডিসি ফটো

সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দুই দিনের অবরোধের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহণ নীল বাস বন্ধ রেখেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম (জরুরি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকায় ক্যাম্পাসে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থী কম থাকায় নীল বাস বন্ধ রাখার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

পরিবহণ পুল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ৮টি নিজস্ব নীল বাস ও ৭টি বিআরটিসির লাল বাস রয়েছে। তবে জরুরি সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও লাল বাসসমূহ নগরীর অভ্যন্তরে না গিয়ে শুধু শহরের প্রবেশপথ পুলিশ লাইনস ও টমছম ব্রিজ পর্যন্ত চলাচল করতে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পুলিশ লাইনস ও টমছম ব্রিজ থেকে বাসে ওঠা-নামার করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ পুল।

এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে, আগে যেখানে লাল ও নীল মিলিয়ে মোট ১৫টি বাস চলমান ছিল সেখানে এখন মাত্র ৭টি লাল বাস চলছে। যার ফলে তাদের গাদাগাদি করে বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে এবং তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেনাজ শারমিন রাফিয়া বলেন, অবরোধ আমাদের নীল বাসের কাছে, লাল বাসের নাই। শহরের স্টুডেন্টদের এইভাবে ভোগান্তিতে ফেলার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। ব্যাপারটা এখন এমন দাঁড়ালো যে, লাল বাস জ্বলে-পুড়ে যাক, কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ভার্সিটির নীল বাসের কিছু হওয়া যাবে না। এইবার স্টুডেন্ট মরুক বাঁচুক। যাতায়াতে ভোগান্তি কোনো ব্যাপারই না। এগুলা প্রশাসনের বিবেচনা করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ পুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাহিদুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমাদের প্রশাসককে জানানো হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন নীল বাস বন্ধ রাখার কথা। তবে কোনো কারণ উল্লেখ্য করা হয়নি। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বাসের চাহিদা কম থাকায় নীল বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকলে নীল বাস চলবে।