হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের থাকার বিষয়ে নির্দেশনা বৈষম্যমূলক
দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের থাকার বিষয়ে জারি করা নির্দেশনা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানানো জানানো হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্যবিষয়ক সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) ফোরাম অবিলম্বে এ নির্দেশনা প্রত্যাহার ও সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
১৯টি সংগঠন ও সংস্থার জোট সিএসও ফোরামের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে এবং নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসন সনদে (সিডও) শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও আবাসিক হলে ছাত্রীদের বসবাসের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বিধান ও প্রয়োগ উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়।
আরো বলা হয়েছে, এ বৈষম্যমূলক বিধিমালা বাংলাদেশের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা, নিরাপদ মাতৃত্ব ঘোষণাপত্রসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
আরো পড়ুন: কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে ৩৫ প্রত্যাশীরা
তারা বিবাহিত বা অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য বাদ দিয়ে সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকার সময়ে যেন প্রসূতিকালীন প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারেন, তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিএসও ফোরামে থাকা সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইপাস বাংলাদেশ, ব্র্যাক, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ, আইসিডিডিআরবি, নারী মৈত্রী, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সিরাক-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি, জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, রাস্ট, বাপসা, আরএইচস্টেপ, ওজিএসবি, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন, কেয়ার বাংলাদেশ ও আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল।