২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২২

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় পরিবর্তন, যুক্ত হলো শাস্তি বিধি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন এসেছে অ্যাকাডেমিক পরীক্ষার খাতায়। বেড়েছে পরীক্ষার খাতার কাগজের মান। খাতার আউটলুক ও পরীক্ষাগারে পরীক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনাবলিতেও এসেছে পরিবর্তন। রবিবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত মালামাল পরিদর্শন কমিটির সভাপতি ও লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক আজিজুর রহমান আবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক আজিজুর রহমান বলেন, পরিবর্তীত নির্দেশনাবলিতে নিয়ে আসা হয়েছে ভাষার পরিশীলতা। বেড়েছে বানান সতর্কতা। যুক্ত করা হয়েছে পরীক্ষার্থী কর্তৃক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদুপায় অবলম্বনে শাস্তির বিধি।

জানা যায়, ৭ অক্টোবর (শনিবার) টানা বর্ষণের ফলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির নিচতলায় ডাম্পিং স্টোরে জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয় প্রায় এক লাখ পরীক্ষার খাতা ও অন্যান্য সামগ্রী। পরে পরীক্ষার খাতার ঘাটতি পূরণে দ্রুততম সময়ে নিয়ে আসা হয় ৪ ধরনের পরীক্ষার খাতা।

আরও পড়ুন: ওয়েবমেট্রিক্সের র‍্যাংকিংয়ে ৭৭তম নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

খাতাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৪০ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ৫০ হাজার মূল উত্তরপত্র, ২০ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ২০ হাজার ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তরপত্র, ১২ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ১ লাখ মিডটার্ম/ইনকোর্স/টিউটোরিয়াল পরীক্ষার উত্তরপত্র, ৮ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট ১ লাখ অতিরিক্ত উত্তরপত্র। কর্ণফুলী কাগজের এসব উত্তরপত্রের প্রতিটিতে রয়েছে পরীক্ষার নির্দেশনাবলি ও পরীক্ষার্থী কর্তৃক শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদুপায় অবলম্বনে শাস্তির বিধি।

পরীক্ষা সংক্রান্ত মালামাল পরিদর্শন কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান আবির বলেন, ‘পরীক্ষার খাতার গুণগত মান ও পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনাবলির ভাষা পূর্বের থেকে আরও পরিশীলিত ও বোধগম্য করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্যারের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, প্রতিটি পরীক্ষার খাতা ২ জন শিক্ষক মূল্যায়ন করে পৃথকভাবে নম্বর দেন। দু্ই পরীক্ষকের নম্বর প্রদানে যদি ২০%-এর বেশি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তখন তৃতীয় একজন পরীক্ষক ওই খাতা মূল্যায়ন করে থাকেন। গুণগতমানে ভালো কাগজ হলে লেখাতে ছাত্রদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে নিশ্চয়।

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের পরীক্ষকদের কাছেও এর মধ্য দিয়ে ভালো বার্তা যাবে। ফাস্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্যা বেস্ট ইম্প্রেশন, এমনও অনেকে বলে থাকেন। খাতার আউটলুক ভালো হলে পরীক্ষকের একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। যার কারণে খাতার আউটলুক ও কাগজের মানে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে।