১৮ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৭

কুবিতে শেখ রাসেল দিবসে নানা আয়োজন

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে র‌্যালিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উদ্যোগে র‍্যালী, কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন,  উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, শেখ রাসেল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ, ছাত্রপরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান। 

এছাড়া ডিনবৃন্দ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার সাথে জার্মাানীতে চলে যাওয়ার কথা ছিল শেখ রাসেলের। সেদিন চলে গেলে তিনি বেঁচে যেতেন। 

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হায়নার দল বাচ্চা শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল এক মহৎ আদর্শ। আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে শোষিত মানুষের নেতা হতেন। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা স্বপ্ন দেখো, দেশকে ভালবাসো এবং দেশের জন্য যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের সম্মান করো।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার বলেন, শেখ রাসেলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ ছিল। নব প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, চেতনা ও দায়িত্ববোধ থাকলে তারা খুব সহজেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে। শেখ রাসেলের স্বভাব ছিল বন্ধুসুলভ। শেখ রাসেলের কাজের মধ্যে ছিল ইতিবাচকতা। দেশে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে পড়লে দেশের উন্নয়ন হবে।

আলোচনা সভা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পুরষ্কার প্রদান শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্যাহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।