শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখতে চাই না আমরা: সৌমিত্র শেখর
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪১ PM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৪৫ PM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, আজকের যুগ আইটিতে শিক্ষিত হবার যুগ। আজকে নিরক্ষরতার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। নিরক্ষরতার ক্ষেত্রে আইটি লিটারেসিও এখন বিবেচনা করা হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো দিক থেকে পিছিয়ে রাখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের আইটি কেন্দ্রীক জড়তা কাটাতে হবে। শুধু বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, যারা বাংলা, দর্শন, ইতিহাসে পড়ছে তাদেরও আইটিতে দক্ষ হতে হবে। নাহলে কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাবো।
আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি বিশ্বমানের ক্যাম্পাস। সারা পৃথিবীর বিখ্যাত এবং গুণী মানুষরা এখানে আসবেন। ইতোমধ্যে আমরা দুটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করেছি যেখানে মালয়েশিয়া, চীন, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রফেসররা এসে অংশ নিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেও আরেকটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আমরা করবো। সেখানেও আন্তর্জাতিক মানের প্রফেসররা আসবেন এবং আমাদের ক্যাম্পাস থেকেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশে যাবেন। এভাবেই বিশ্বমানের ক্যাম্পাস গড়ে তোলা সম্ভব।
লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক (উপসচিব) মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে মেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান ও রেজিষ্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পটির উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।
মেলায় অংশ নেওয়া দেশের প্রথম সারির ১৪টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো আবেদন ও পরামর্শের সুযোগ পায়। পাশাপাশি পাঁচজন ফ্রিল্যান্সারের সফলতার গল্প এবং মুক্ত আলোচনা পর্বও অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী।