চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদ
কোলন ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবুও তিনি দেশের একটি স্বনামধন্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে তাকে ক্যামো থেরাপি দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা নিতে অধ্যাপক ইমদাদুল হক গত ১২ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। সেখানে তার রেডিও থেরাপি সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে শারিরীক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তিনি গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দেশে ফিরে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এক মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে স্যারের শারিরীক অবস্থায় কিছুটা উন্নতি হওয়ার দেশে আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বেসরকারি বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শিগগিরই তার ক্যামো থেরাপি শুরু হবে।
এর আগে, গত গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে অধ্যাপক ইমদাদুল হকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী অধ্যাপক জানান, বর্তমানে উপাচার্য স্যারের রেডিও থেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। এখন ক্যামো থেরাপি দেওয়া হবে। আশা করি দ্রুতই উনি সুস্থ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ে জড়ালে ছাত্রত্ব বাতিল: জবি উপাচার্য
অধ্যাপক ইমদাদুল হক একজন বাংলাদেশী উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য। তিনি ২০২১ সালের ১ জুন চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে নিয়োগ পান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন।
অধ্যাপক ইমদাদুল হকের জন্ম পাবনা জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে এমএসসি এবং ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একাধিক পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও সদস্য, বাংলাদেশ উদ্ভিদবিজ্ঞান সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি একাধিক পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও ভূমিকা রেখেছেন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার ৮০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি একাধিক বইয়ের সহ-সম্পাদক।