রাজশাহী কলেজের এক উদ্যোগে সুফল পেয়েছেন ৫০০ শিক্ষার্থী
অনিয়ন্ত্রিত রাগ, অহেতুক ভয়, মাদকাসক্তি, ট্রমা, পড়াশুনায় অমনোযোগীসহ শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কাজ করছে রাজশাহী কলেজের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর সুফলও পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে এ সেবা নিয়ে সমস্যা থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুক্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এ উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, করোনাকাল ও পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সপ্তাহে তিনদিন শনি, সোম ও বুধবার সেবা দিচ্ছে।
অনিয়ন্ত্রিত রাগ, অহেতুক ভয়, দুঃশ্চিন্তা, মাদকাসক্তি, ট্রমা, সোস্যাল ফোবিয়া, একাকীত্ববোধ, সিদ্ধান্তহীনতা, পড়াশোনায় অমনোযোগী, ঘুমের সমস্যা, অস্থিরতাসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সমাধানে মনোবিদের দ্বারা কলেজের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ান হচ্ছে। তারা কাউন্সিলিংও করছেন।
সেবা নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, এখান থেকে সেবা ও কাউন্সিলিং নেওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যে তারা ফল পেয়েছেন। নিয়মিত কাউন্সিলিং করা হলে রোগীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। মানসিক রোগীকে নিয়মিত বিনা মূল্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং করছে কলেজের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। অনেকে এখান থেকে সেবা নিয়ে ভালো আছেন।
আরো পড়ুন: সুশাসন নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান ইউজিসির
মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মনোবিদ শতরুপা বলেন, এখানে সপ্তাহে তিনদিন সেবা দেওয়া হয়। যতজন মানসিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের প্রায় সবাই মানসিক চিন্তাভাবনা, বিষন্নতা, অতিরিক্ত চিন্তা ইত্যাদি থেকে উপশম পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী সেবা নিয়েছেন।
রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহা. আব্দুল খালেক বলেন, বিভিন্ন কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। ফলে নানা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবার সচেতন থাকতে হবে। রাজশাহী কলেজ মানসিক সুস্থতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় পথিকৃত হিসেবে রাজশাহী কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখান থেকে কাউন্সেলিং করা হয়। দক্ষ জনশক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অসুস্থতার কারণ নিরূপণ ও তা নিরসনে সবার এগিয়ে আসতে হবে।