১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০০

হোস্টেল এখন মরণ ফাঁদ, ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ভবনে থাকছেন শিক্ষার্থীরা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন  © টিডিসি ফটো

বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ( ডিগ্রী ) হোস্টেলের দুটি ভবন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই দুই ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বসবাস করছেন। নতুন হোস্টেল ভবন নির্মাণে কর্তৃপক্ষের নেই তেমন কোন মাথা ব্যথা। ফলে বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পাশ্চাত্যের অক্সফোর্ড খ্যাত সরকারি ব্রজমোহন কলেজে প্রায় ২৭ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৭টি থাকার হোস্টেল। মহাত্বা অশ্বিনী কুমার দত্ত ডিগ্রী হোস্টেল, ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক হল, জীবনানন্দ দাস ছাত্রাবাস, সুরেন্দ্র ভবন ছাত্রাবাস, বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাস, দেবেন্দ্র ভবন ছাত্রীনিবাস, নৃপেন্দ্র ভবন ছাত্রীনিবাস।

মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ডিগ্রি হোস্টেলের ৪টি ভবন। এরমধ্যে (এ-ব্লক এবং বি-ব্লক) অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন। হোস্টেল ভবন দুটি সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর আর সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠে ভবন দুটি। ১ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাত ৩ টা ২০ মিনিটের দিকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ছাত্রাবাসের (ডিগ্রি হল) এ-ব্লকের ২০৮ নম্বর কক্ষের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে মোঃ রেজাউল করিম ও মমিনুল ইসলাম নামের দুই ছাত্র আহত হয়েছিল। এর আগেও এ ধরণের দুর্ঘটনা বহুবার ঘটেছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজ প্রশাসন হোস্টেল ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমাদের বারবার হোস্টেল থেকে নেমে যেতে বলেন। কিন্তু তারা আমাদের থাকার জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। নতুন হোস্টেল নির্মাণের দাবীতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত আন্দোলনে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন।

মহাত্বা অশ্বিনী কুমার দত্ত ডিগ্রী হোস্টেলের তত্ত্বাবায়ক এম.এম আসাদুজ্জামান বলেন, দুটি ভবনকে মৌখিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বলছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তাছাড়া হোস্টেলের ভবন দুটি ( এ-ব্লক এবং বি-ব্লক) সংস্কারে কোন কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদগোলাম কিবরিয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দিলে তারা সময় চেয়েছেন। তবে অনেকেই সরে গেছেন। পাশাপাশি নতুন হোস্টেল ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।