খেলাধুলার চেয়ে ধান চাষে বেশি উপযোগী ববির খেলার মাঠ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটি মাত্র খেলার মাঠ। সেই মাঠ খেলার উপযোগী নয়, মাঠের দিকে নজরও নেই প্রশাসনের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘‘মাঠে এখন খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই। এ মাঠ খেলাধুলার করার চেয়ে ধান চাষের জন্য বেশি উপযোগী।’’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খেলার মাঠের অধিকাংশ জায়গা উঁচু-নিচু। মাঠে জন্মেছে অতিরিক্ত ঘাস। মাঠে পানি নিষ্কাশনের নেই কোনো ব্যবস্থা। এতে অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যায়। বর্ষাকালে পুরো সময়েই মাঠটিতে পানি জমে থাকায় এসময় খেলার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে মাঠটি।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের একমাত্র খেলার মাঠ সব ধরনের সমস্যা সমধান করে খেলার উপযোগী করে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি বর্ষা সৌসুম শেষ হলেই তারা সংস্কারের কাজ শুরু করবেন।
এই বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই আমরা মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করবো। -মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, পরিচালক, শারীরিক শিক্ষা দপ্তর
প্রায় সারা বছরই ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা ভলিবলের মতো খেলায় ব্যস্ত থাকে এ মাঠ। এ মাঠেই আয়োজন করা হয় আন্ত ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। কিন্তু মাঠের পরিবেশ খেলার অনুপযোগী হওয়ায় নিয়মিত খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফাহিম বলেন, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে অতিরিক্তি কাঁদা তৈরি হয়। খেলার মাঠ সংকটের কারণে সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মাঠেই খেলাধুলা করেন। কিন্তু মাঠে যে অবস্থা হয়ে আছে, সেখানে মতো এখন কোনো পরিবেশ নেই।
আরও পড়ুন: বেরোবিতে প্রস্তুত হচ্ছে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার পৃথক মাঠ
তিনি বলেন, মাঠে প্রচুর গর্ত থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় ইন্জুরিতে পড়তে পারেন। ইতিমধ্যে অনেকেই ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ইন্জুরিতে পড়েছেন। খেলার মাঠ সংস্কার এবং উপযুক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। এছাড়া সারাবছর মাঠের সঠিক পরিচর্যা এবং মাঠ বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
মাঠে এখন খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই। এ মাঠ খেলাধুলার করার চেয়ে ধান চাষের জন্য বেশি উপযোগী। -শিক্ষার্থীদের অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন বলেন, মাঠ সংস্কারের কাজ শারীরিক শিক্ষা দপ্তেরের। তবে তারা মাঠ সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নিলে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সহায়তা করবো।
মাঠ সংস্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে পরিচালক মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান বলেন, এই বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই আমরা মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করবো।