বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা জবির ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
বৈরী আবহাওয়া ও তিন নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় সেন্টমার্টিনে বার্ষিক ট্যুরে গিয়ে আটকা পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দুইজন শিক্ষকসহ চতুর্থ বর্ষের ৪০ জন শিক্ষার্থী। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও আবহাওয়ার তিন নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় আসতে পারেননি।
ট্যুরে যাওয়া আবদুল বারেক নামের এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। আবদুল বারেক লেখেন, ৩৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সেন্টমার্টিন শিক্ষা সফরে এসে প্রচণ্ড লঘুচাপ এবং সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে আমরা দুদিনের বদলে তৃতীয় দিন অতিক্রান্ত করছি। আগামীকালও নাকি জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে, এইখানে প্রচুর খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে আমরা ফিরতে পারিনি। এখানে মাছ-মাংসের সংকট থাকলেও চাল-ডাল ও শুকনো খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে কথা বলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
জানা যায়, গত সোমবার (২ অক্টোবর) সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সহযোগী অধ্যাপক নুসরাত সুলতানাসহ ৩৮ জন শিক্ষার্থী দুইদিনের র্যাগ ট্যুরে সেন্টমার্টিন যান। জাহাজ চলাচল বন্ধের জন্য ফিরতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. মোহাম্মদ আলী। বিকেল পৌনে পাঁচটায় একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, এখানকার আবহাওয়া এখন ভালো। কিন্তু, শিপ এজেন্সিগুলো জাহাজ বন্ধ রাখায় আমাদের দেরী হচ্ছে। চালু হলেই আমরা ফিরতে পারব।
এ বিষয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেও সেন্টমার্টিনে আটকেপরাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন- এখনো সবার অবস্থা স্বাভাবিক। আর খাদ্যসংকট তেমন দেখা দেয়নি। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, সাগর একটু উত্তাল থাকায় আপাতত জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাদের আজকে ফিরে আসার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়ে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।
উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আহম্মদ বলেন, ওদের সাথে আমার কথা হয়েছে সবাই নিরাপদে এবং সুস্থ আছে। আগামীকাল শিপ ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। শিপ ছাড়লেই তারা ব্যাক করবে।