দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিতুমীর কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য, পদোন্নতি ও পদসৃজনে জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশের ন্যায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষকগণ। বেলা ১২টায় তারা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে, কর্মবিরতির এই কর্মসূচি চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
তাদের দাবিগুলো হলো- প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সব যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি, পদসৃষ্টি, স্কেল আপগ্রেডেশন, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা ও শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার।
অবস্থান কর্মসূচিতে তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: মহিউদ্দিন বলেন, আজকের কর্মবিরতি, আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের মনে-অন্তরে যে বিরাট হতাশা, তা ব্যক্ত করার দিন আজ। আমাদের এ আন্দোলন আরও পূর্বেই গ্রহণ করার প্রয়োজন ছিলো। আমাদের দু:খগুলো কেবল, আমরাই জানি। আমাদেরও প্রত্যাশা শিক্ষা ক্যাডারে আমরা প্রফেসর হিসেবে যেনো বিদায় নিতে পারি। আমাদের পদোন্নতির বিষয়টি আমাদের আকাঙ্খার বিষয়। এখানে এ বিষয়গুলোতে কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে, যেনো আমাদের বঞ্চিত অধিকারগুলোর অবসান দূর করে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য শিক্ষকের ভূমিকা নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারকে আমাদের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
শিক্ষক সম্পাদক অধ্যাপক মালেকা আক্তার বলেন, আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না, আমাদের কর্মসূচি সরকারের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আমাদের দাবি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই আদায় করতে চাই। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব সবাইতো আমাদের পছন্দের, তাহলে আমাদের চাহিদাগুলোর কেনো সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে না? এর উত্তর কোথায় জানতে চাইবো? আমাদের ন্যায্য দাবিতে আমরা অটল থাকবো। আমরা চাই, শিক্ষা ক্যাডারকে সম্মানিত করা হোক। আমরাও চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা সম্মানের সাথে অংশগ্রহণ করি।
এদিকে আজকের কর্মবিরতির পর দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিন কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।