ববিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঈদে-মিলাদুন্নবি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন এবং যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পবিত্র ঈদে-মিলাদুন্নবি উদযাপিত হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মসজিদ আলোচনা ও মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা এবং শেখ হাসিনা হলে পৃথক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ট্রেজারার ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। এছাড়াও অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ এবং দপ্তর প্রধানরা।
বক্তারা মহানবীর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন এবং তিনি যে শান্তি, সংহতি ও সৌহার্দ্যের বাণী প্রচার করে গেছেন তা সকলকে হৃদয়ে ধারণ করার আহ্বান জানান
হল প্রভোস্টদের সভাপতিত্বে হওয়া এসব সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। তার জীবদ্দশায় প্রথম স্বপ্নটি পূরণ হলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দ্বিতীয় স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে। দারিদ্রতা দূরীকরণ ও উন্নত দেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে অনুকরণীয় নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তারা আরো বলেন, একসময় সারাদেশে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতো। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে একসঙ্গে পাঁচ শতাধিক মডেল মসজিদ এবং ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,তাপ ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।
সভা শেষে দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত এক কুইজ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করেন শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া। বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্যোগে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘজীবন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।