গুচ্ছে আসন ফাঁকা ২২২০, ভর্তি আগের নিয়মে
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ২ হাজার ২২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এই আসনগুলোতে আগের নিয়মেই শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তাব করবে টেকনিক্যাল কমিটি।
জানা গেছে, গুচ্ছের ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাবনা জমা দেবে টেকনিক্যাল কমিটি। সেই প্রস্তাবনা অনুযায়ী এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গুচ্ছের কোর কমিটির সভায়। আজ বুধবার এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির একটি সূত্র জানিয়েছে, গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো ২২২০ আসন ফাঁকা রয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে চায় না আয়োজক কমিটি। অন্যদিকে আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্খিত শিক্ষার্থী পাবে না।
ওই সূত্র জানায়, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ রেখে ভর্তি কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন চালু রেখে আগের নিয়মে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এভাবেই প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বুধবার সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমাদের আগে যেভাবে ভর্তি কার্যক্রম চলেছ এবারও সেভাবেই চলবে। কেবল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ থাকবে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এর আগে গত সোমবার গুচ্ছের কোর কমিটির সভায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ইন্টার ইউনিভার্সিটি ট্রান্সফার আর হবে না। খালি সিটগুলো কীভাবে পূরণ হবে, সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কমপ্লিট প্রস্তাবনা দেবে।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, চারটি মেরিট দেওয়া হয়েছে, মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছেলেরা ভর্তি না হলে কিছু করার নেই।
গত ২২ আগস্ট গুচ্ছের শেষ ধাপের ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার চার ধাপে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তবে অধিক সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় ফের ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
এর আগে ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।