ছাত্রত্ব ফিরে পেতে চান ফুলপরীকে নির্যাতনকারী সেই পাঁচ শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ ছাত্রীর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। ছাত্রত্ব হারানো শিক্ষার্থীরা তাদের বিষটি পুনরায় বিবেচনা করতে আদলতে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। ছাত্রত্ব ফিরে পেতে চান তারা।
ছাত্রত্ব হারানো শিক্ষার্থীরা হলেন,শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গনরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসন পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উচ্চ আদালত এবং শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল।
এরপর সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬০ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচজনের ছাত্রত্ব বাতিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছে কর্তমপক্ষ। পরবর্তী শুনানী হয়নি বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলেন ছাত্রত্ব হারানো শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ছাত্রত্ব ফিরে পেতে আশান্বিত। তারা পুনরায় হাইকোর্টে আবেদন করবেন বিষয়টি বিবেচনার জন্য। তাদের দাবি তারা ন্যায়বিচার পাবেন।
ইসরাত জাহান মীম বলেন, হাইকোর্ট চালু হলে রিট করব। আশা করি বিষয়টি বিবেচনা করবে আদালত।
সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগাবো। আদালত যেটা করবে সেটাই মেনে নিব।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন বলেন, আমার কোন ধরণের অসুবিধা নেই। আমি স্বাভাবিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা এবং হলে চলাফেরা করছি।