ইবির সাদ্দাম হলে বিদায় অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে আজ। এ অনুষ্ঠানে স্নাতক ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে ইতোমধ্যে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে হলটিকে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হবে। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে সম্মাননা স্মারক এবং বিদায়ী ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হবে। এছাড়া ডিনারের পর অনুষ্ঠিত হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান।
এ ছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জমকালো কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের নামকরা শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানটি বেলা ২ টায় শুরু হয়ে চলবে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে গান করবেন সোনার বাংলা সার্কাস, মাশা, ওয়েব দ্যা ব্যান্ড, জেমস সম্রাট এবং ওসেন উয়েন মার্মা।
সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ড. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সম্মানিত অতিথি
প্রভোস্ট কাউন্সিলের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা প্রমূখ।
আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, ৩৬৫৭ জনকে সুপারিশ
অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদায়ী শিক্ষার্থী তাজমুল হক জায়িম বলেন, বিদায় একটি হৃদয় বিদারক শব্দ। তবুও বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে বিদায় নিতে হয়। আমরা ৫ বছর আগে এই হলে এসেছিলাম। আমাদের নিজ পরিবারের মতো হলে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের বন্ধনে আরেক পরিবার গড়ে উঠেছিল। সময়ের পরিক্রমায় এই হলে ছেড়ে চলে যেতে হবে ভাবতেই কষ্ট অনুভূত হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে পরবর্তী জীবনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারি।
বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মৃদুল হাসান রাব্বী বলেন, ছাত্র হলগুলোর মধ্যে সাদ্দাম হোসেন হলে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বিদায় অনুষ্ঠান। এ আয়োজনের কাজ সম্পন্ন করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সকল বাধাঁ উপেক্ষা করে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এমন অনুষ্ঠান আগামীতে বারবার হোক এটাই প্রত্যাশা।
সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট ড. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথম ছাত্র হল হিসেবে এ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করেছে। এতে আমি আনন্দিত। আমি চাইবো সাদ্দাম হোসেন হলের মতো অন্য হলগুলোও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে।আমি সর্বোপরি এ অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করি।