প্রথম মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বলছে কর্তৃপক্ষ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন-ক্যাম্পাসের প্রথম মেধাতালিকায় গড়মিল থাকার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নম্বরে এগিয়ে থাকলেও অনেকে সাবজেক্ট পাননি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষে এইচএসসি উত্তীর্ণ অনেক শিক্ষার্থীকে সুযোগ দেয়া হয়নি। ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে এইচএসসি উত্তীর্ণদের বেশি অগ্রধিকার দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ১২১৬.৬ নম্বর পেয়েও ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষে এইচএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থী সাবজেক্ট পায়নি। অথচ ১১৮৯.৪ নম্বর পেয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে এইচএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স সাবজেক্ট এসেছে।
একইভাবে ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষের ১২১৫ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট আসেনি কিন্তু একই বিভাগ থেকে ১২০৫ নম্বর পেয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীদের আইন সাবজেক্ট এসেছে। এছাড়াও ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষের ১১৮৭ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট না আসলেও ১১৮৩-৮৪ নম্বর পেয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীদের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট এসেছে।
এ বিষয়ে ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ফাতিহা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সার্কুলারের শর্ত উপেক্ষা করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা একাধিকবার বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিন তাদের ভুলের জন্য আজ আমাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের মুখে। ব
মো. রাফি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার নম্বর ১১৮৭। আমার প্রথম চয়েজ ছিল নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স (এনএফএস)। তবে আমার এই সাবজেক্ট আসেনি। অথচ বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই ১১৮৬ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থী এনএফএস এসেছে। এটা কীভাবে সম্ভব। কর্তৃপক্ষের এই অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না।
তবে শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সাবজেক্ট চয়েসে ভুল করার কারণে অনেকে বেশি নম্বর পেয়েও সাবজেক্ট পায়নি। এটি শিক্ষার্থীদের ভুলের কারণেই হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আবেগের বসে এসব অভিযোগ করেছে। তাদের সাবজেক্ট চয়েজ ঠিক না থাকলে সাবজেক্ট আসবে না এটাই স্বাভাবিক। আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করে মেধাতালিকা প্রণয়ন করেছি। এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাববা নেই।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা অন্য বিভাগের সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে চায় তাদের অনেক চিন্তাভাবনা করে সাবজেক্ট চয়েজ দেওয়া দরকার। কেননা আসন সীমিত রয়েছে। এজন্য অনেকে ভালো নম্বর পেয়েও সাবজেক্ট পায় না।