আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ‘সম্প্রীতির সুর’-এ মাতলো খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন (আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংস্থা) আয়োজন করলো ‘সম্প্রীতির সুর’। নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংস্থাটি।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে প্রথম বর্ষে (২৩ ব্যাচ) ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আদিবাসী ছাত্রকল্যাণ সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷
'সম্প্রীতির সুর: দ্বিতীয় অধ্যায়' নামক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে চাকমা, মারমা ও রাখাইন নাচ গান পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি বাংলা গান পরিবেশনা করে ক্যাফেটেরিয়ার পরিবেশ উৎসবমুখর করে তোলে তারা।
অনুষ্ঠানে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধন ছিলো চোখে পড়ার মতো। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে তাদের এই আনন্দ উৎসবের অংশ হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানের নাম ‘সম্প্রীতির সুর’ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এই অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী শিক্ষার্থী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কটাকে আরও প্রগাঢ় করবে এবং আমরা নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতিগত ঐক্য ও সম্প্রীতির আহ্বান ছড়িয়ে দিতে পারবো।’
আরও পড়ুন: চার অ্যাওয়ার্ডে মেধার স্বীকৃতি পাবে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তেমিয় চাকমা বলেন, আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে আসা ছোট ভাই-বোনদের বরণ করে নিতে এই আয়োজন করেছি। পাশাপাশি জাতিগত বৈষম্য ও বিদ্বেষ দূরে রেখে সম্প্রীতির বন্ধন ছড়িয়ে দেওয়াও ছিলো আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতিগত মেলবন্ধন একটি প্রয়োজন হিসেবে উঠে দাঁড়িয়েছে। জাতিগত সুসম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংস্থা সবসময় তৎপর থাকবে।’ পাশাপাশি আগামীতে আরও বড় পরিসরে এমন প্রোগ্রামের আয়োজন করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি দীপক চাকমা ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তেমিয় চাকমা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিহার রঞ্জন উরাওঁ, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ, আমন্ত্রিত সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।