সাত কলেজের সকল সমস্যায় পাশে থাকবে ঢাবি ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের নানান সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সমাধান পাননি এসব শিক্ষার্থী। এবার সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সরকারি সাত কলেজের সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই আশ্বাস দেন ঢাবি ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরলে এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বারবার ক্লাস রুম ছেড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হচ্ছে। কারণ তাদের জন্য নিয়মতান্ত্রিক কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। ক্লাস রুটিন, সিলেবাস, মানোন্নয়ন, পরীক্ষা, সিজিপিএসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা তো অটো প্রমোশন চাচ্ছি না। আমরা চাই তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়নের সুযোগ দিয়ে পরবর্তী বর্ষে উঠার সুযোগ করে দেওয়া। আমরাও তো শিক্ষার্থী। আমরাও তো রাজপথে নেমে মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে চাই না। আমাদের সমস্যাগুলো দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করেছে তখন থেকেই সমস্যার শুরু। আসলে যে উদ্দেশ্যে সাত কলেজকে ঢাবির অধিভুক্ত করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঠিক তদারকি করছেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত সকল সমস্যার ব্যাপারে আমাদের কলেজগুলোর প্রশাসনকে জবাবদিহি করা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সমস্যা সমাধান না করে একজন আরেকজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দরকষাকষি করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন। তানভীর হাসান সৈকত(সাধারণ সম্পাদক) বলেন আমি মনে করি সাত কলেজের সকল সমস্যার সমাধান ঢাকা ভার্সিটি সকল সংগঠন তাদের পাশে থাকবে।
দাবি আদায়ের মিছিলে একাত্মতা পোষণ করায় ঢাবি ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু আমাদেরকে তাদের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করেছে সেহেতু পরিবারের এক সদস্যের সাথে ভালো আচরণ আর অন্য সদস্যের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা কোনভাবেই কাম্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যেহেতু আমাদের দায়িত্ব নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন, আমরা আশাবাদী যে অতি দ্রুত আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।