নীল দলের মেয়াদ শেষের ৫ মাসেও হয়নি নির্বাচন
২০২১ সালের ২৪ মার্চ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু নীল দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান সভাপতি এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দু’বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের মার্চে।
তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ দলের গঠনতন্ত্রের ৭ (ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এবং দায়িত্ব হস্তান্তর হবে ৩১ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্রে এমন বিধি থাকলেও পাঁচ মাসের মধ্যে দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অন্যরা। নির্বাচন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিধি বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর প্যানা, পোস্টারে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এখনও ব্যবহার করছেন বঙ্গবন্ধু নীল দলের পদ, এমন অভিযোগও উঠেছে। সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বপদে বহাল থাকার বিষয়টিকে স্বৈরতান্ত্রিক চর্চা হিসেবে দেখছেন দলের একাধিক শিক্ষক।
বঙ্গবন্ধু নীল দলের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির বাইরে গিয়ে এখানে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে 'উপাচার্য লীগ'। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কেউ করেন না, সবাই করেন ‘উপাচার্য লীগ'। সুযোগ-সুবিধা ও নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করতে তারা বঙ্গবন্ধু নীল দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, নানা জটিলতায় যথাসময়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা অব্যাহত রাখতে নীল দলের গঠনতন্ত্রের আলোকে শিগগিরই নির্বাচন হবে। একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।