০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:৪৪

বঙ্গবন্ধু নীল দলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ৫ মাসেও হয়নি নির্বাচন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম  © ফাইল ছবি

২০২১ সালের ২৪ মার্চ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু নীল দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং( সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান সভাপতি এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সেলিম আল মামুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

দুই বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের মার্চে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ সংগঠটির গঠনতন্ত্রের ৭ (ক) ধারায় বলা আছে, ‘কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এবং দায়িত্ব হস্তান্তর হবে ৩১ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’ কিন্তু গঠনতন্ত্রে এমন বিধি থাকলেও পাঁচ মাসের মধ্যে দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেননি।

এদিকে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বেচ্ছাচারীভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। নির্বাচন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শুধু তাই নয়, বিধি বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোর প্যানা, পোষ্টারে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এখনও ব্যবহার করছেন বঙ্গবন্ধু নীল দলের পদ। সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া স্বপদে বহাল থাকার বিষয়টিকে স্বৈরতান্ত্রিক চর্চা হিসেবে দেখছেন দলের একাধিক শিক্ষক।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু নীল দলের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফ ইকবাল আরিফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী রাজনীতির বাইরে গিয়ে এখানে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ‘উপাচার্য লীগ’। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কেউ করেন না, সবাই করেন ‘উপাচার্য লীগ'। উপাচার্যের সুযোগ সুবিধা ও নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করতে তারা বঙ্গবন্ধু নীল দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’

সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, ‘নানা জটিলতায় যথাসময়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু নীল দলের গঠনতন্ত্রের আলোকে শিগগিরই নির্বাচন হবে। একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।’